আল্লাহতায়ালা বলেন: ‘সেদিন (কিয়ামতের দিন) ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিরা কোনও উপকারে আসবে না, কেবল সাফল্য লাভ করবে সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে, সেদিন জান্নাতকে মুত্তাকীদের একান্ত নিকটে নিয়ে আসা হবে আর জাহান্নামকে পথভ্রষ্টদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে।’ (সূরা শুয়ারা, আয়াত: ৮৮-৯১)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন : “নিশ্চয় সে সফলকাম হয়েছে, যে তাকে নিজ অন্তরকে পাপ থেকে পরিশুদ্ধ করেছে। আর সে ব্যর্থ হয়েছে, যে নিজ অন্তরকে পাপে নিমজ্জিত হয়ে কলুষিত করেছে।’ (সূরা শামস, আয়াত ৯-১০)
তিনি আরও বলেন: ‘তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা দুনিয়ার ফাঁদে পড়ে আল্লাহকে ভুলে গেছে, ফলে আল্লাহও তাদেরকে করেছেন আত্মভোলা। মূলত এরাই হচ্ছে পাপাচারী লোক।’ (সূরা হাশর আয়াত: ১৯)
আয়াত তিনিটি থেকে স্পষ্ট হল নফস বা আত্মাকে বিশুদ্ধ না করে আল্লাহতায়ালার সন্তোষভাজন হওয়া অসম্ভব। যুগে যুগে আল্লাহতায়ালার প্রিয় বান্দারা মনকে পরিশুদ্ধ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন এবং যারা আন্তরিক হয়ে নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে চেষ্টা করেছেন তারা সাধারণত আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করে সফল হয়েছেন। মনকে পরিশুদ্ধ করার অন্যতম উপায় হল প্রকাশ্যে ও গোপনে আল্লাহকে ভয় করা। সুযোগ সময় পেলে সুন্নত সম্মত যিকির করা, বিনয়-নম্রতা অবলম্বন, খারাপ বা অহেতুক চিন্তা হতে নিজেকে মুক্ত রাখা উচিত। এই খারাপ গুণগুলো অন্তর থেকে দূর করার শতভাগ চেষ্টা করা আবশ্যক।
একই সঙ্গে নফস বা অন্তরের অনুসরণ, অহংকার, হিংসা, অহেতুক রাগ, অধিক পাওয়ার লোভ, দুনিয়ায় যশ ও সম্মানের মোহ, নিজের চিন্তা বা সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত ভাবা, নিজেকে বড় মনে করা ইত্যাদি খারাপ গুণ বর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়া। সেজন্য সদা সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর পরিশুদ্ধ না করে কোনও ইবাদাতেই আন্তরিকতা আসবে না, আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করা যাবে না, কারণ আল্লাহতায়ালার কাছে মুখ্য বিষয় হল, আমল ও বিশুদ্ধ অন্তর যা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই অন্তরকে বিশুদ্ধ করতে সচেষ্ট হন। তবেই কষ্টের আমল কবুল হবে মহান মালিকের দরবারে।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ