সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী: Saiyed Abul Ala Moududee Books

Saiyed Abul Ala Moududee Books

সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচের নামের উপর ক্লিক করুন।
▶ তরজমায়ে কুরআন মজীদ

▶ কুরআনের বাংলায় অনুবাদ
১। আল কুরআনের অনুবাদ ১ম খণ্ড
২। আল কুরআনের অনুবাদ ২য় খণ্ড
৩। আল কুরআনের অনুবাদ ৩য় খণ্ড

▶ তাফসিরঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যা
১। তাফহীমুল কুরআন বিষয় নির্দেশিকা
২। তাফহীমুল কুরআন বিষয়সূচী
৩। তাফহীমুল কুরআন (সব খণ্ড একত্রে)

ইসলামী সাহিত্য
১। অর্থনৈতিক সমস্যার ইসলামী সমাধান
২। আজকের দুনিয়ায় ইসলাম
৩। আদর্শ মানব
৪। আধুনিক নারী ও ইসলামী শরিয়ত
৫। আন্দোলন সংগঠন কর্মী
৬। আল জিহাদ
৭। আল্লাহর পথে জিহাদ
৮। আসমাউল হুসনা
৯। ইসলাম ও আধুনিক অর্থনৈতিক মতবাদ
১০। ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ
১১। ইসলাম ও জাহেলিয়াত
১২। ইসলাম ও ধর্মহীন গণতন্ত্র
১৩। ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব
১৪। ইসলাম ও সামজিক সুবিচার
১৫। ইসলাম পরিচিতি
১৬। ইসলামী অনুষ্ঠানের তাৎপর্য
১৭। ইসলামী অর্থনীতি
১৮। ইসলামী অর্থব্যবস্থার মূলনীতি
১৯। ইসলামী আইন
২০। ইসলামী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচী
২১। ইসলামী আন্দোলনঃ সাফল্যের শর্তাবলী
২২। ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি বা desktop
২৩। ইসলামী আন্দোলনের সঠিক কর্মপন্থা
২৪। ইসলামী এবাদাতের মর্মকথা
২৫। ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মৌলিক রূপরেখা
২৬। ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
২৭। ইসলামী দাওয়াত ও তার দাবী
২৮। ইসলামী দাওয়াতের পথ
২৯। ইসলামী বিপ্লবের পথ
৩০। ইসলামী রাষ্ট্র ও সংবিধান
৩১। ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার
৩২। ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
৩৩। ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রণয়ন
৩৪। ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা
৩৫। ইসলামে মৌলিক মানবাধিকার
৩৬। ইসলামের জীবন পদ্ধতি অথবা Desktop
৩৭। ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ
৩৮। ইসলামের নৈতিক দৃষ্টিক্ষণ
৩৯। ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষা
৪০। ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ
৪১। ইসলামের শক্তির উৎস
৪২। ইসলামের হাকীকত
৪৩। ঈমানের হাকীকত
৪৪। উপমহাদেশর স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুসলমান ২
৪৫। একটি সত্যনিষ্ঠ দলের প্রয়োজন
৪৬। একমাত্র ধর্ম
৪৭। কাদিয়ানী সমস্যা
৪৮। কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা
৪৯। কুরআনের মর্মকথা
৫০। কুরআনের মহত্ত্ব ও মর্যাদা
৫১। কুরবানীর তাৎপর্য
৫২। খতমে নবুয়্যাত
৫৩। খেলাফত ও রাজতন্ত্র
৫৪। গীবত একটি ঘৃণ্য অপরাধ বা এটা
৫৫। জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের ভিত্তি
৫৬। জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ইতিহাস ও কর্মসূচী
৫৭। জামায়াতে ইসলামীর ঊনত্রিশ বছর
৫৮। জিহাদের হাকীকত
৫৯। তাওহীদ রেসালাত ও আখিরাত
৬০। তাকদীরের হাকীকত
৬১। দা’য়ী ইলাল্লাহ দাওয়াতে ইলাল্লাহ
৬২। নবী জীবনের বৈশিষ্ট্য
৬৩। নবীর কুরআনী পরিচয়
৬৪। নামায রোযার হাকীকত
৬৫। নির্বাচিত রচনাবলী
৬৮। পত্রাবলী
৬৯। পর্দা ও ইসলাম
৭০। ভাঙা ও গড়া
৭১। ভূমির মালিকানা বিধান
৭২। মুমিনের করনীয়
৭৩। মুরতাদের শাস্তি
৭৪। মুসলিম নারীর নিকট ইসলামের দাবী
৭৫। মুসলিম বিশ্বে ইসলামী আন্দোলনের কর্মপন্থা
৭৬। মুহাররমের শিক্ষা
৭৭। মোগল সাম্রাজ্য পতনের ইতিহাস
৭৮। যাকাতের হাকীকত
৭৯। যুগ জিজ্ঞাসার জবাব ১ম খণ্ড
০০। যুগ জিজ্ঞাসার জবাব ২য় খণ্ড
৮১। রাসায়েল ও মাসায়েল ১ম খণ্ড
০০। রাসায়েল ও মাসায়েল ২য় খণ্ড
০০‌। রাসায়েল ও মাসায়েল ৩য় খণ্ড
০০। রাসায়েল ও মাসায়েল ৪র্থ খণ্ড
০০। রাসায়েল ও মাসায়েল ৫ম খণ্ড
০। রাসায়েল ও মাসায়েল ৬ষ্ঠ খণ্ড
০। রাসায়েল ও মাসায়েল ৭ম খণ্ড
৮২। রাহমাতুল্লিল আ’লামীন
৮৩। শান্তির পথ
৮৪। শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামী দৃষ্টিকোণ
৮৫। সত্যের সাক্ষ্য
৮৬। সাহাবায়ে কিরামের মর্যাদা
৮৭। সীরাতে রাসূলের পয়গাম
৮৮। সীরাতে সরওয়ারে আলম ১ম খণ্ড
০০। সীরাতে সরওয়ারে আলম ২য় খণ্ড
০০। সীরাতে সরওয়ারে আলম ৩য় ও ৪র্থ খণ্ড
৮৯। সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং
৯০। সুন্নতে রাসুলের আইনগত মর্যাদা
৯১। স্বামী স্ত্রীর অধিকার
৯২। হজ্জের হাকীকত
৯৩। হেদায়াত
৯৪। মওদুদীঃ ইসলামের আলোয় আলোকিত এক নেতা

লেখক পরিচিতিঃ

প্রাথমিক জীবনঃ ১৯০৩ সনে ২৫ সেপ্টেম্বরে সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী ভারতের আওরঙ্গবাদে জন্মগ্রহণ করেন। নয় বছর পর্যন্ত মওদুদীকে গৃহশিক্ষা দেওয়া হয়, তিনি তার পিতার হাতে এবং তার দ্বারা নিযুক্ত বিভিন্ন শিক্ষকের কাছ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। ১১ বছর বয়সে তিনি আরবি থেকে উর্দু ভাষায় উর্দুতে কাশিম আমিনের আল মারহা আল-জাদিদাহ, আধুনিক ও নারীবাদীদের কাজ অনুবাদ করেছিলেন। ১১ বছর বয়সে মওদুদীকে আওরঙ্গবাদের মাদ্রাসা ফাওকানিয়্যা মাশরিকিয়্যাতে (ওরিয়েন্টাল উচ্চ বিদ্যালয়) সরাসরি অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়, যার প্রতিষ্ঠাতা শিবলী নোমানী , যিনি একজন আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদ এবং আধুনিক জ্ঞানকে চিরাচরিত ইসলামী ছাত্রবৃত্তির সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছেন। যা মওদুদীর দর্শনের পাশাপাশি গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নের মতো প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী আগ্রহ তৈরীতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এরপরে তিনি আরও বেশী ঐতিহ্যবাহী হায়দারাবাদের দারুল উলূমে চলে আসেন। এরই মধ্যে তাঁর বাবা ভূপালে চলে আসেন- সেখানে মওদূদী আরেক আধুনিকতাবাদী নিয়াজ ফতেহপুরীর সাথে বন্ধুত্ব করেছিলেন । ১৯১৯ সালে, তিনি ১৬ বছর বয়সে দিল্লিতে চলে আসেন, তিনি পাঁচ বছর ধরে পশ্চিমা দর্শন, সমাজবিজ্ঞান এবং ইতিহাসের নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করার জন্য ইংরেজি এবং জার্মান ভাষাও শিখেছিলেন।

কর্মজীবনঃ বিংশ শতাব্দীতে এ উপমহাদেশে সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (র) ছিলেন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনি, মুসলিম গবেষক , রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক এবং সমাজ সংস্কারক । তিনি মাওলানা মওদুদী, আবার আরব বিশ্বে শাইখ সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী নামেও পরিচিত। তিনি উপমহাদেশের প্রাচীনতম জনপ্রিয় দল জামায়াতে ইসলামী নামক একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলেরও প্রতিষ্ঠাতা।তিনি ছিলেন ২০ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম স্কলারদের মধ্যে একজন। তিনি ইতিহাসের দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ ব্যক্তি যাহার গায়েবানা জানাজার নামাজ পবিত্র কাবাতে পড়া হয়।

মাওলানা মওদুদীর প্রভাবঃ ইতিহাসবেত্তা ফিলিপ জেনকিন্সের মতে, মিসরের হাসান আল বান্না এবং সাইয়েদ কুতুব তার বই পড়ে অনুপ্রাণিত হন। সাইয়িদ কুতব তার কাছ থেকে আদর্শ গ্রহণ করেন এবং এটি আরো সম্প্রসারিত করেন। তিনি একটি অগ্রগামী ইসলামী বিপ্লবী দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী জুরিস্ট আবদুল্লাহ আযযামও তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। দক্ষিণ-এশীয় জনগন (বিরাট সংখ্যক ব্রিটেন প্রবাসী সহ) মাওলানা মওদুদীর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। এমনকি শিয়া অধ্যুষিত ইরানেও সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর বড় ধরণের প্রভাব আছে। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ্ খোমেনী ১৯৬৩ সালে মাওলানা মওদুদীর সাথে সাক্ষাত করেন, পরবর্তীতে ইমাম খোমেনী মওদুদীর বইগুলো ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন। এখনো পর্যন্ত প্রায়শঃই ইরানের ইসলামী সরকার মাওলানা মওদুদীর কর্মপন্থা অনুসরন করে থাকে।
ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পর তিনি (মওদুদী) দ্বিতীয় চিন্তাবিদ যিনি আধুনিক বিশ্বে ইসলামী রাজনৈতিক চিন্তাধারা-কে প্রভাবিত করেছেন। তিনি হচ্ছেন ভারত উপমহাদেশের জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা , পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের জন্য আলোকবর্তিকা, লক্ষ্য লক্ষ্য মুসলিম যুবক ও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যার লেখনী থেকে উপকৃত হয়েছে বহু ভাষায় অনুদিত হওয়া প্রচুর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচয়িতা- উসতাজ আবুল আ’লা মওদুদী।
ওমর তিলমেসানী, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী ও হাসানুল বান্নার মাঝে তুলনা করতে গিয়ে বলেছেন: তারা উভয়েই ছিলেন এ প্রজন্মের অনন্য ইমাম তথা নেতা বা পথপ্রদর্শক। আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের পদ্ধতি ও সিস্টেম ছিল এমন যে, তারা সর্বদা কুরআন ও হাদীস থেকেই মেটেরিয়াল গ্রহণ করতেন। কোন ফিলোসোফারের কাছ থেকে তা গ্রহণ করতেন না। যারা হাসানুল বান্নার উপর আসা নির্যাতন দেখেছেন ঠিক তেমনি মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী উপরও একই ধরণের অত্যাচার নির্যাতন এসেছে।
আমি মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী মত এমন কোন ব্যক্তিকে জানিনা নতুন একটা মুসলিম প্রজন্মের উপর যার রয়েছে চিন্তা ও কর্মের দিক থেকে অত্যন্ত প্রভাব। তার দাওয়াতি কাজের ভিত্তি ছিল ইলমের উপর এবং তা ছিল রাজনৈতিক আহ্বানের চেয়েও অত্যন্ত গভীর ও শক্তিশালী। তার লেখা যুবকদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা রেখেছে। তারা (যুবকেরা) বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, ইসলাম সমস্ত যুগের সাথেই তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

একনজরেঃ
১৯১৮- সাংবাদিক হিসেবে ‘বিজনোর’ (Bijnore) পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।
১৯২০- জবলপুরে ‘তাজ’ পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২১- দিল্লিতে মাওলানা আব্দুস সালাম নিয়াজির কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেন।
১৯২১- দৈনিক ‘মুসলিম’ পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২৫- নয়া দিল্লির ‘আল জামিয়াহ’ পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ।
১৯২৬- দিল্লির ‘দারুল উলুম ফতেহপুরি’ থেকে ‘উলুম-এ-আকালিয়া ওয়া নাকালিয়া’ সনদ লাভ করেন।
১৯২৭- ‘আল জিহাদ ফিল ইসলাম’ নামে জিহাদ বিষয়ক একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা শুরু করেন।
১৯২৮- উক্ত প্রতিষ্ঠান (দারুল উলুম ফতেহপুরি) থেকে ‘জামে তিরমিযি’ এবং ‘মুয়াত্তা ইমাম মালিক’ সনদ লাভ করেন।
১৯৩০- ‘আল জিহাদ ফিল ইসলাম’ নামের বিখ্যাত বইটি প্রকাশিত হয়। তখন তার বয়স ২৭ বছর।
১৯৩৩- ভারতের হায়দারাবাদ থেকে ‘তরজুমানুল কুরআন’ নামক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।
১৯৩৭- তার ৩৪ বছর বয়সে, লাহোরে, দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তিতুল্য মুসলিম কবি ও দার্শনিক আল্লামা মুহাম্মাদ ইকবালের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় করিয়ে দেন চৌধুরী নিয়াজ আলী খান।
১৯৩৮- তার ৩৫ বছর বয়সে, হায়দারাবাদ থেকে পাঠানকোটে গমন করেন। সেখানে তিনি দারুল ইসলাম ট্রাস্ট ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন, যেটি ১৯৩৬ সালে আল্লামা ইকবালের পরামর্শে চৌধুরী নিয়াজ আলী খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাঠানকোটের ৫ কিমি পশ্চিমে, জামালপুরে, চৌধুরী নিয়াজ আলী খানের ১০০০ একর এস্টেট ছিল। চৌধুরী নিয়াজ আলী খান সেখান থেকে ৬৬ একর জমি মাওলানা মওদূদীকে দান করেন।
১৯৪১- লাহোরে ‘জামায়াতে ইসলামী’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর আমির নির্বাচিত হন।
১৯৪২ – জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয় পাঠানকোটে স্থানান্তর করেন।
১৯৪২ – তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থ প্রনয়ন শুরু করেন।
১৯৪৭ – জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয় লাহোরের ইছরায় স্থানান্তর করেন।
১৯৪৮ – ‘ইসলামী সংবিধান’ ও ‘ইসলামী সরকার’ প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করেন।
১৯৪৮ – পাকিস্তান সরকার তাকে কারাগারে বন্দী করে।
১৯৫০ – কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৯৫৩- ‘কাদিয়ানী সমস্যা’ নামে একটি বই লিখে কাদিয়ানী বা আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম প্রমাণ করেন। ফলে ইতিহাসখ্যাত বড় রকমের কাদিয়ানী বিরোধী হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেকগুলো সংগঠন একযোগে কাদিয়ানীদেরকে সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা সর্বদলীয় কনভেনশনে ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ‘ডাইরেক্ট একশন কমিটি’ গঠন করে। জামায়াত এই কমিটির বিরোধিতা করে অহিংস আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু তথাপি মার্চ মাসের শুরুতে আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে এবং পুলিশের গুলিতে কিছু লোক নিহত হয়। পরে একটি সামরিক আদালত আবুল আ’লাকে এই গোলযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়, (যদিও কাদিয়ানী সমস্যা নামক বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি)। অবশ্য সেই মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা হয়নি।
১৯৫৩- মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর চাপ এবং দেশী বিদেশী মুসলিম নেতৃবৃন্দের অনুরোধে মৃত্যুদন্ডাদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড করা হয়, কিন্তু পরে তা-ও প্রত্যাহার করা হয়।
১৯৫৮- সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান  ‘জামায়াতে ইসলামী’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
১৯৬৪- আবারো তাকে কারাবন্দী করা হয়।
১৯৬৪- কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৯৭২- তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থটির রচনা সম্পন্ন করেন।
১৯৭২- জামায়াতে ইসলামীর আমির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
১৯৭৮- তার রচিত শেষ বই ‘সিরাতে সারওয়ারে আলম’ প্রকাশিত হয়। এটি নবী মুহাম্মাদ-এর জীবনী গ্রন্থ।
১৯৭৯- “ইসলামের প্রতি সেবা” এই বিভাগে মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৭৯- চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন।
১৯৭৯- যুক্তরাষ্ট্রে তার মৃত্যু হয়।
১৯৭৯- লাহোরের ইছরায় সমাধিস্থ করা হয়।

আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ

error: Content is protected !!
Scroll to Top