অধ্যাপক গোলাম আযম কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অমুসলিম নাগরিক ও জামায়াতে ইসলামী
২। আদম সৃষ্টির হাকিকত
৩। আদর্শ রুকন
৪। আধুনিক পরিবেশে ইসলাম
৫। আযানের মাধ্যেমে কাদেরকে নামাযে ডাকা হয়
৬। আল্লাহ তায়ালার সাথে মানুষের সম্পর্ক
৭। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন
৮। আল্লাহর খেলাফত প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি
৯। আল্লাহর দুয়ারে ধরণা
১০। আসুন আল্লাহর সৈনিক হই
১১। ইকামাতে দ্বীন
১২। ইসলাম ও গনতন্ত্র
১৩। ইসলাম ও দর্শন
১৪। ইসলাম ও বিজ্ঞান
১৫। ইসলামী আন্দোলনঃ কর্মীদের ৭ দফা
১৬। ইসলামী আন্দোলন সাফল্য ও বিভ্রান্তি
১৭। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রাথমিক পুঁজি
১৮। ইসলামী ঐক্য ইসলামী আন্দোলন
১৯। ইসলামী ঐক্যমঞ্চ চাই
২০। ইসলামী সভ্যতা বনাম পাশ্চাত্ত্য সভ্যতা
২১। ইসলামের পুনরুজ্জীবনে মাওলানা মওদুদীর অবদান
২২। ইসলামের সহজ পরিচয়
২৩। একজন মানুষঃ যিনি দুনিয়া ও আখিরাতে অত্যাবশ্যক
২৪। কর্মীদের ৭দফা
২৫। কিশোর মনে ভাবনা জাগে
২৬। কুরআন বুঝা সহজ
২৭। কুরআনে ঘোষিত মুসলিম শাসকদের ৪ দফা কর্মসূচি
২৮। খাঁটি মুমিন হতে হলে তাগুতের পাক্কা কাফির হতে হবে
২৯। খাঁটি মুমিনের সহীহ জযবা
৩০। চিন্তাধারা
৩১। জাতীয় সংসদে রাজনৈতিক দলের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি
৩২। জামায়াতে ইসলামীর কর্মনীতি
৩৩। জামায়াতে ইসলামীর বৈশিষ্ট্য
৩৩। জীবনে যা দেখলাম
৩৪। জীবন্ত নামাজ
৩৫। তাওহীদ শিরক ও তিন তাসবীহর হাকীকত
৩৬। তাকবীর তাওয়াক্কুল সবর
৩৭। দীন ইসলামের শিক্ষাদানে বুনিয়াদী গলদ
৩৮। দ্বীন ইসলামের ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক ধারণা
৩৯। দেশ গড়ার ডাক
৪০। ধর্ম নিরপক্ষ মতবাদ
৪১। নবী জীবনের আদর্শ
৪২। নাফস রূহ কালব অথবা এটি
৪৩। পলাশী থেকে বাংলাদেশ
৪৪। পরিপূর্ণ জীবনবিধান হিসেবে ইসলামের সহজ পরিচয়
৪৫। প্রশান্তচিত্ত মুমিনের ভাবনা
৪৬। প্রশ্নোত্তর
৪৭। বাইয়াতের হাকীকত
৪৮। বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী
৪৯। বাংলাদেশী বনাম বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ
৫০। বাংলাদেশে ইসলামী ঐক্য প্রচেষ্টার ইতিহাস
৫১। বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটনাবহুল ৭৫ সালঃ আগস্ট ও নভেম্বর বিপ্লব
৫২। বাংলাদেশের জনগণের নিকট ১৫ আগস্ট কি শেখ মুজিব কি জাতির পিতা
৫৩। বিয়ে তালাক ফারায়েয
৫৪। বিশেষ আবেদন
৫৫। মনটাকে কাজ দিন
৫৬। মযবুত ঈমান
৫৭। মযবুত ঈমান সহীহ ইলম নেক আমল
৫৮। মসজিদের ইমামদের মর্যাদা ও দায়িত্ব
৫৯। মাওলানা মওদূদীকে (র) যেমন দেখেছি
৬০। মানবজাতির স্রষ্টা যিনি, বিধানদাতাও একমাত্র তিনি
৬১। মুমিনের জেলখানা
৬২। মুমিনের প্রথম কাজ
৬৩। মুসলিম নেতাদের এ দশা কেন প্রতিকারই বা কি
৬৪। মুসলিম মা বোনদের ভাবনার বিষয়
৬৫। মুহতারাম আলেমসমাজ ও দ্বীনদারদের খেদমতে জরুরী প্রশ্ন
৬৬। যুক্তির কষ্টিপাথরে জন্মনিয়ন্ত্রণ
৬৭। রাজনৈতিক দলের সংস্কার
৬৮। রাষ্ট্রক্ষমতার উত্থান পতনে আল্লাহ তায়ালার ভূমিকা
৬৯। রাসূলগণকে আল্লাহ তায়ালা কি দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন
৭০। রুকনিয়াতের আসল চেতনা
৭১। রুকনিয়াতের দায়িত্ব ও মর্যাদা
৭২। শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামী রূপরেখা
৭৩। শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান
৭৪। শেখ হাসিনার দুঃ শাসনের ৫ বছর
৭৫। ষ্টাডী সার্কেল
৭৬। সৎ লোকের এতো অভাব কেন
৭৭। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন
লেখক পরিচিতিঃ
প্রাথমিক জীবনঃ গোলাম আযম ৭ নভেম্বর, ১৯২২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম গোলাম কবির ও মায়ের নাম সৈয়দা আশরাফুন্নিসা। তিনি তার গ্রাম বিরগাও-এর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) একটি মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ও ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) এর জিএস পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে তৎকালীন সময়ে সংঘটিত হওয়া বাংলা ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে ডাকসু’র জিএস পদে থাকাকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কাছে ডাকসু’র পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন, যাতে উর্দুর পাশাপাশি বাঙলাকেও রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করা হয়। বাংলাভাষা আন্দোলনে শরীক হওয়ার কারণে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের হাতে তিনবার গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উপর বিএ ও ১৯৫০ সালে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।
কর্মজীবনঃ ছাত্রজীবন শেষে গোলাম আযম ১৯৫০ সালেই তাবলীগ জামায়াতের তৎপরতার সাথে জড়িত হন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি তাবলীগ জামায়াতের রংপুরের আমীর ছিলেন। ১৯৫০ সালের ৩রা ডিসেম্বর তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। গোলাম আযম তমদ্দুন মজলিসের কাজেও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হয়ে পড়েন ১৯৫২ সালেই। ১৯৫৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি তমদ্দুন মজলিসের রংপুর জেলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৪ সালেই গোলাম আযম সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হন। ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে জামায়াতে ইসলামীতে সহযোগী (মুত্তাফিক) হিসেবে যোগদান করার পর ১৯৫৫ সালে গ্রেফতার হয়ে রংপুর কারাগারে অবস্থানকালেই জামায়াতের রুকন হন। ১৯৫৫ সালের জুন মাসে তিনি রাজশাহী বিভাগীয় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। এর এক বছর পর তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এবং রাজশাহী বিভাগীয় আমীরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্রমেই দলে তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে ও ১৯৫৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদাক পদ গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খান সরকারবিরোধীতার জন্য মৌলবাদী ধর্মীয় কাজকর্মের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ও আযম গ্রেফতার হন। তাকে আট মাস আটক করে রাখা হয়। ১৯৬৯ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর (সভাপতি) পদে অধিষ্ঠিত হন এবং এই পদটি তাকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে হয়েছিল। তিনি ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান গণতান্ত্রিক জোট গঠনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। গোলাম আযম জামায়াতে ইসলামীর তাত্ত্বিক নেতা বা গুরু হিসেবেও পরিচিত।
মৃত্যুঃ গোলাম আযম ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ
সার্বিক কল্যাণ কামনা করি। ধন্যবাদের ভাষা নেই। খুবই সুন্দর সংগ্রহ। অত্যন্ত উপকৃত হলাম। শুকরিয়া।