মুহাম্মদ আবদুল মান্নান কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে নামের উপর ক্লিক করুন।
লেখক পরিচিতিঃ
জন্মঃ এম এ মান্নান চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ ষউপজেলার ইসলামপুর গ্রামে ৯ মার্চ ১৯৩৫ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। যার পূর্ব নাম ছিল দেবীপুর গ্রাম।
কর্মজীবনঃ মাওলানা আবদুল মান্নান ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ হলেও তিনি প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতা দিয়ে। তিনি তার গ্রামের ইসলামপুর আলিয়া মাদ্রাসার হাদিস বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ঐ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে পদন্নোতি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের কয়েকটি সুনাম ধন্য দৈনিক পত্রিকার মধ্যে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনঃ বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষিতদের মধ্যে সফলতম রাজনৈতিক ব্যক্তি হলেন এম এ মাওলানা আবদুল মান্নান। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পদেও মাদ্রাসা শিক্ষিতদের মধ্যে তিনিই প্রথম। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি জাতীয় পার্টি-এর মনোনিত তৎকালীন চাঁদপুর-৬ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি এই আসন থেকে দুইবার জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচন করেন। প্রথমবার তিনি সফলতার সাথে নির্বাচনে জয় লাভ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রী ছিলেন। তিনি পাকিস্তান শাসনামল থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। প্রথম রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি ১৯৬২ সালে ইস্ট পাকিস্তান আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ঐ পদে বহাল ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ইস্ট পাকিস্তান এসেম্বলির পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন। মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান পূর্ব পাকিস্তান সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের (মন্ত্রণালয়ের) দায়িত্বে নিয়োজিত পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৬৫ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৬৮ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মাওলানা এম এ মান্নান পাকিস্তান এডভাইজরি কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডলজির সদস্য ছিলেন। এ এডভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যদের পদ ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় সচিবদের সমপদমর্যাদার। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৎকালীন কুমিল্লা-২৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন চাঁদপুর-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রী এবং ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
অবদানঃ এম এ মাওলানা আবদুল মান্নানের অসংখ্য অবদান রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি ও বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকদের বেতন, ভাতা ও অনুদান বাড়ানোর পিছনে তার অবদান স্মরণীয়। মাদ্রাসা শিক্ষায় উন্নয়ন ও শিক্ষকদের জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে। এছাড়াও ১৯৮৭ সালের বন্যাতেও তার অবদান স্মরণীয়। বাংলাদেশের ১৯৮৭ সালের মহা বন্যার সময় তিনি বিদেশ থেকে অনেক ত্রাণ আনেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক ও দানবীর। তিনি অনেক স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করেছেন। তিনি ঢাকাতে গাউছুল আজম জামে মসজিদটি নির্মাণ করেন। এছাড়াও তিনি তার গ্রাম ইসলামপুরে একটি ইসলামি মিশন চালু করেন। যার পরিচালনায় রয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অনেক স্কুল প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করেছন। তার মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কেরোয়া গ্রামে কেরোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া