আমল সম্পর্কিত বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অনর্থক গুনাহ – মুফতি মুহাম্মদ শফী
২। আমল ও ইবাদত – ডাঃ তৌহিদুর রহমান
৩। আমল কবুলের দুটি শর্ত – মুহাম্মদ মুকাম্মাল হক
৪। আমলে কোরআনী – আশরাফ আলী থানবী
৫। আল্লাহর নিকট অধিক পচ্ছন্দনীয় আমল – আসমা বিনতে রাশেদ
৬। ইসলাম ধর্মে সৎকর্ম কবুল হওয়ার শর্তাবলী – ড. মুহাম্মদ মুর্তজা বিন আয়েশ মুহাম্মদ
৭। ইসলামী দিবস সমূহ বার চাঁন্দের ফযিলত – মুহাম্মদ আবুল কাসেম গাজী
৮। এক হাতে মুসাফা – আব্দুর রহমান মোবারক পুরী
৯। কবীর গুনাহ – ইমাম আযযাহারী
১০। কবীরা গুনাহ – ঈমাম যাহাবী রহঃ
১১। কর্মের ফলাফল – আশরাফ আলী থানবী
১২। কিতাবুল কাবায়েরঃ কবীরা গুনাহ – হাফিজ শামসুদ্দিন যাহাবী
১৩। কিভাবে আপনি জান্নাত লাভ করবেন – ইউসুফ ইবন মুহাম্মদ আল উয়াইদ
১৪। কুরআন-হাদীসের আলােকে গুনাহ মাফের উপায় – শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল
১৫। কুরআনে কারীম ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে গুনাহ মাফের আমল – সালাম ইবন ঈদ আল হেলালী
১৬। নেক আমল – আশরাফ আলী থানভী
১৭। নেক আমল বিধ্বংসী বদ আমল সমূহ – মাসুদা সুলতানা রুমী
১৮। নেক আমলে আল্লাহর প্রতিদানঃ কি করলে কি হবে – মুহাম্মদ মুনাজ্জিদ
১৯। নেককার ও বদকার লোকের মৃত্যু কিভাবে হবে – মুহাম্মদ আব্দুর রহমান খন্দকার
২০। প্রতিদিনের নেক আমল – মোঃ খায়রুজ্জামান খান হেলাল
২১। প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর জন্য যা জানা একান্ত কর্তব্য – আব্দুল্লাহ ইবন ইবরাহিম
২২। বারো চান্দের ফযিলত – মুহাম্মদ আবুল কাসেম গাজী
২৩। বারো মাসে তেরো পর্ব – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
২৪। মিথ্যা ওয়াদা ভঙ্গ ও খেয়ানতের বিভিন্ন রূপ – মুহম্মদ তাকি উসমানী
২৫। যে চৌদ্দ আমলে রিযক বাড়ে – আলি হাসান তৈয়ব
২৬। যে সকল হারামকে মানুষ তুচ্ছ মনে করে থাকে – মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
২৭। রাযায়েলে আমল – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
২৮। রাসূল সাঃ এর উপর আমলের আবশ্যকতা আর তার অস্বীকারকারীর কাফের হওয়া – আব্দুল আযীয বিন বায
২৯। রাসূল সাঃ এর উপর সালাত (দরুদ) পড়ার অর্থ ফযিলত পদ্ধতি ও স্থানসমূহ – জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
৩০। শবে বরাতঃ সঠিক দৃষ্টিকোণ – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৩১। শবে মি’রাজঃ করণীয় ও বর্জনীয় – আবূ আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ
৩২। শবে বরাত ফযীলত ও আমল — ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৩৩। শবেবরাত – মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
৩৪। শবেবরাত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা – আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
৩৫। শবেবরাত সমাধান – আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
৩৬। শরীয়তে নিষিদ্ধ কাজ হতে সাবধান – মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৩৭। শ্রেষ্ঠ মাস রমযানের আমল সমূহ
৩৮। সওয়াব ও গুনাহ মাপার পদ্ধতি – মোঃ মতিয়ার রহমান
৩৯। হারাম ও কবীরা গুনাহ ১ম খণ্ড — মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৪০। হারাম ও কবীরা গুনাহ ২য় খণ্ড — মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৪১। হারাম ও কবীরা গুনাহ ৩য় খণ্ড — মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
৪২। হারাম রুযী ও রোযগার – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
আমল পরিচিতি
‘আমল’ আরবী শব্দ। এর বাংলা হলো কাজ। মানুষ কোনো কাজের চিন্তা করলে ঐ কাজের সূচনা হয়। সে কাজের জন্য ইচ্ছা ও চেষ্টা করা হলে তাকে আমল বা কাজ বলা হয়।
কোনো কাজের ইচ্ছা ও চেষ্টা করা হলেই কাজটি সমাধা না হলেও তা কাজ করা হয়েছে বলে ধরা হবে। কারণ, কাজটি সমাধা করা আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে, এটা মানুষের ইখতিয়ারে নেই। কাজটি সমাধা না হলেও কাজের ফল আখিরাতে দেওয়া হবে। কাজটি ভালো হলে পুরস্কার পাবে, মন্দ হলে শাস্তি পাবে।
মানুষ শুধু ইচ্ছা ও চেষ্টার জন্য দায়ী। কোনো কাজ কারো হাতে যদি ইচ্ছা ও চেষ্টা ছাড়াই সমাধা হয়ে যায়, তাহলে এর জন্য তাকে দায়ী করা হয় না। যেমন— এক লোক পাখি শিকারের জন্য গাছে গুলি চালাল। গাছে যে একজন মানুষ ছিল তা সে জানত না। গুলি লেগে লোকটি মারা গেল। মেরে ফেলার কাজটি সমাধা হয়ে গেল। কিন্তু এ কাজের ইচ্ছা তো সে করেনি এবং এ উদ্দেশ্যে সে চেষ্টাও করেনি। আদালতে এ কথা প্রমাণিত হলে লোকটির কোনো শাস্তি হবে না। অথচ মেরে ফেলার কাজটি কিন্তু হয়েই গেল।
আল্লাহ তা‘আলার বড়ই মেহেরবানী যে, যদি কেউ কোনো ভালো কাজ করার নিয়ত বা ইচ্ছা করে, কিন্তু এর জন্য চেষ্টা করার সময় বা সুযোগ না পায়, তবুও তিনি তাকে কিছু পুরস্কার দেবেন। আর যদি সে মন্দ কাজের নিয়ত করে, তাহলে চেষ্টা না করা পর্যন্ত তাকে কোনো শাস্তি দেওয়া হবে না, বরং চেষ্টা না করার কারণে তাকে কিছু পুরস্কার দেওয়া হবে বলে রাসূল (সা.) বলেছেন।
মানুষের আমলের হিসাব মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয় না
আদালতে আখিরাতে যখন মানুষের আমলনামা (দুনিয়ায় যা করেছে তার হিসাব) দেওয়া হবে, তখন যারা নেক আমল করেছে তাদের ডান হাতে এবং যারা বদ আমল করেছে তাদের বাম হাতে দেওয়া হবে। যারা আল্লাহর হুকুম ও রাসূলের তরীকা মতো চলেছে তারা নেক আমল করেছে বলে গণ্য হবে। আর যারা এর বিপরীত চলেছে তারা বদ আমল করেছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
আমলনামা হাতে পেয়ে নেক লোক ও বদ লোক সবাই দেখবে যে, দুনিয়ায় তারা যে পরিমাণ কাজ করেছে এর চেয়ে বহুগুণ বেশি কাজের হিসাব সেখানে লেখা আছে। তখন সবাই আল্লাহকে ডেকে বলবে, আমরা তো এত কিছু করিনি, আমাদের হিসাবে এত আমল কেমন করে লেখা হলো? জবাবে আল্লাহ বলবেন, দুনিয়ায় বেঁচে থাকাকালে তোমরা যা কিছু করেছ তা তো লেখা আছেই; মৃত্যুর পরও তোমাদের আমল বন্ধ হয়নি। তোমরা অন্যদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছ, তোমাদেরকে করতে দেখে যারা করতে শিখেছে, তোমরা যাদেরকে করতে উৎসাহ দিয়েছ, তারা যা আমল করেছে তাও তোমাদের আমলনামায় যোগ হয়েছে। তোমাদের মৃত্যুর পরও তোমাদের আমলের হিসাব জারি ছিল। এ কথা নেক ও বদ উভয় রকমের আমলের বেলায়ই সত্য।
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কাজের পথ দেখায় সে তার মতোই, যে কাজ করে।’ যে কাজ করে তার আমলনামায় যেমন সওয়াব বা গুনাহ লেখা হবে, যে ওই কাজের পথ দেখায় তার আমলনামায়ও তা যোগ হবে। আমার চেষ্টায় যদি কোনো বেনামাযী নামাযী হয়ে যায়, তাহলে সারা জীবনে সে যত নামায আদায় করেছে, এর নেকী ওই লোকের আমলনামায় যা হবে, আমার আমলনামায়ও তা-ই লেখা হবে। তাই মৃত্যুর পরও আমল জারি থাকে।
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ঐ লোকই বুদ্ধিমান, যে তার নাফ্সকে দমন করে এবং যে কোনো কাজ করলে এর ফল আখিরাতে কী পাবে সে হিসাব করেই করে।’ দুনিয়ায় নগদ কী ফল পাবে সে হিসাব করে কাজ করা একেবারেই বোকামি। যদি কেউ আখিরাতের হিসাব করে কাজ করে তাহলে— মিথ্যা কথা বলা, ওজনে কম দেওযা, ঘুষ নেওয়া ইত্যাদি কোনোটাই করতে সে সাহস করবে না।
নিয়তকে খাঁটি করতে হলে খেয়াল রাখতে হবে— আমি যে নেক আমলই করি, তা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি (খুশি) ও আখিরাতের সাফল্য লাভের উদ্দেশ্যে করছি কি-না। নিয়ত সহীহ্ হলেই আল্লাহ আমাদের আমল কবুল করবেন ও পুরস্কার দেবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত করার সাথে সাথে আখিরাতের সফলতার কথাও খেয়ালে রাখতে হবে। আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকলেই আখিরাতে সফল হওয়া যাবে বটে; কিন্তু যেহেতু আখিরাতের সাফল্যই আসল উদ্দেশ্য, সেহেতু নিয়তের বেলায় ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখিরাতের সাফল্য’— এ দুটো কথা একসাথেই খেয়াল করা জরুরি।
রাসূল (সা.) বলেছেন, শুধু আমলের কারণেই নাজাত পাওয়া যাবে না। একমাত্র আল্লাহর রহমত হলেই মুক্তির আশা করা যায়। এতে বোঝা গেল— যত নেক আমলই করি না কেন, আল্লাহর দরবারে তা কবুল হওয়ার যোগ্য না হলে এবং তিনি দয়া না করলে উপায় নেই। তাই তাঁর দয়ার আশাই আসল ভরসা।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ