নামাজ বা সালাত বিষয়ক বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
২। আযান ও ইকামত – সাঈদ ইবন আলি ইবন ওহাফ আল কাহতানী
৩। আযানের মাধ্যেমে কাদেরকে নামাযে ডাকা হয় – অধ্যাপক গোলাম আযম
৪। আল্লাহর রাসুল কিভাবে নামায পড়তেন – ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম
৫। আল্লাহর রাসূলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ – জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
৬। আস-সালাত আস-সালাত – নূর মুহাম্মদ বদীউর রহমান
৭। ইকামাতুস সালাত – কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহীম
৮। ইসলাম নামাজ ও তাসাউফ শিক্ষা – মোঃ সাইফুল ইসলাম
৯। ঈদের তাকদীর – মুযাফফার বিন মুহসিন
১০। ঈদের সালাত ঈদগাহে পড়তে হবে কেন – নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
১১। ঈদের সালাতে বারো তাকবীরের প্রমাণ ও ছয় তাকবীরের বিশ্লেষণ – আব্দুর রহমান মুবারকপুরীী
১২। এসো নামাজ পড়ি – আবদুস শহীদ নাসিম
১৩। এসো নামাজ শিখি – মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
১৪। কবর ও মাজার সংলগ্ন মাসজিদে সালাত আদায়ে সতর্ক হোন – মুহাম্মদ নাসেরুদ্দিন আলবানী
১৫। কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান – ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
১৬। কিভাবে নামাজ পড়িতে হয় – আব্দুল আলী
১৭। কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জামা‘আতে সালাত আদায় – মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
১৮। ঘর কুনো নামাযী – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
১৯। জামআতে সালাত আদায় – মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয
২০। জামাআতে সালাতের গুরুত্ব প্রেক্ষিত বর্তমান সমাজ
২১। জামায়াত ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ জালালাবাদে ইসলামী আন্দলন – ফজলুর রহমান
২২। জামায়াতের সাথে সালাত আদায়ের তাৎপর্য ফযিলত ও আদব সমূহ – সাঈদ ইবন আলি ইবন ওহাফ আল কাহতানী
২৩। জুমুআঃ ফযিলত ও বিধিবিধান – আব্দুল আযীয ইবন আহমাদ
২৪। জুমুআর দিনের বিধান – জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
২৫। জুযউ রফইল ইয়াদাঈনঃ জানেন কি, কি পরিমাণ নেকী হতে আপনি বঞ্চিত হচ্ছেন – ইমাম বুখারী রহঃ
২৬। জুযউ রফইল ইয়াদায়ন ফিস সালাত – ইমাম বুখারী রহঃ
২৭। জুযউল কিরআতঃ ইমামের পিছনে পঠনীয় সর্বোত্তম কিরআত – ইমাম বুখারী রহঃ
২৮। তারবিয়াতুস সালিক – আশরাফ আলী থানবী
২৯। তারাবীহ ও ইতিকাফ – নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
৩০। তারাবীহর রাকাত সংখ্যাঃ একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ – মুযাফফার বিন মুহসিন
৩১। তাহাজ্জুদ নামাজ ও তারাবীহ নামাজ – মাওলানা মুহাম্মদ মূসা
৩২। ধারাবাহিক পূর্ণাঙ্গ নামায শিক্ষা – মোঃ ফযলুর রহমান আশরাফি
৩৩। নবী করীম সাঃ এর নামায আদায়ের পদ্ধতি – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
৩৪। নবীজীর প্রিয় নামায – আবদুল্লাহ নাজীব
৩৫। নামায অমান্য ও অবহেলাকারীর দুনিয়া ও আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি – হাফেয মুহাম্মাদ আইয়ুব
৩৬। নামায আজ কেন ব্যর্থ হচ্ছে – ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান
৩৭। নামায ও পবিত্রতা সম্পর্কে কয়েকটি বিশেষ প্রবন্ধ – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
৩৮। নামায ও সমাজ – ডক্টর মুহাম্মদ মুশাররফ হুসাইন
৩৯। নামায কায়েম কর – মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন
৪০। নামায জান্নাতের চাবি – মাসুদা সুলতানা রুমী
৪১। নামায ত্যাগকারীর বিধান – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৪২। নামায পড়ার পদ্ধতি – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
৪৩। নামায বর্জনকারীর বিধান – মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল উসাইমীন
৪৪। নামায রোযার হাকীকত – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
৪৫। নামাজ শিক্ষা – ড. আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ আযযাইদ
৪৬। নামাযে আমরা কি পড়ি – নির্ভরযোগ্য আলীমগণের গ্রন্থ থেকে সংকলিত
৪৭। নামাযে কিভাবে মনোযোগী হবেন – মুহাম্মদ গোলাম মাওলা
৪৮। নামাজে খুশু উন্নয়নের ৩৩ উপায় – মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৪৯। নামাযের ৫০০ মাসায়েল – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৫০। নামাযের অন্তরালে – মুহাম্মদ শহীদুল মুলক
৫১। নামাযের গুরুত্ব – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
৫২। নামাজের চিরস্থায়ী সময় সূচী – পশ্চিম বাংলা
৫৩। নামাযের দোআ ও যিকর – পশ্চিম দীরাহ ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার
৫৪। নামাযের ধন ভাণ্ডার – আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আসসাদ
৫৫। নামাযের বিধান সূচী – মোঃ আবদুর রউফ
৫৬। নামাযের মাসায়েল – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৫৭। নামযের মৌলিক শিক্ষা – খন্দকার আবুল খায়ের
৫৮। নামাযের শিক্ষা ও তাৎপর্য – মুহাম্মদ আবদুল মজিদ
৫৯। নামাযের সময়সূচী – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৬০। পবিত্রতা ও নামাযের বিধান
৬১। পূর্ণাঙ্গ নামায ও যাকাতের বিধান – আমিনুল ইসলাম
৬২। ফজরের সালাত ও কিয়ামুল লাইলের জন্যে সহায়ক উপকরণ – ড. রুকাইয়্যাহ বিনতে মুহাম্মদ আল মাহারিব
৬৩। বিতর নামায – আব্দুল্লাহ আল কাফী
৬৪। বিতর সালাত – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
৬৫। বিতর্কিত জামাআতী মুনাজাত ও মাগরিবের পূর্বে নফল – আব্দুল হাকিম ও মাজহারুল ইসলাম
৬৬। বিতর্কিত মুনাজাত ও একটি নামায – আব্দুল হামীদ আল মাদানী
৬৭। মকছুদুল মুত্তাকীন – মাওলানা আবদুর রাজ্জাক
৬৮। মহিলার নামায – আব্দুল হামীদ ফাইযী আল মাদানী
৬৯। মুনাজাত ও নামায – ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৭০। যে সালাতে হৃদয় গলে – আবু বকর বিন হাবীবুর রহমান
৭১। যেভাবে নামায পড়তেন রাসূলুল্লাহ সাঃ – অধ্যাপক নূরুল ইসলাম
৭২। রাতের সালাত – সাঈদ ইবন আলি ইবন ওহাফ আল কাহতানী
৭৩। রাফউল মালামঃ সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব – শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন তাইমিয়্যাহ
৭৪। রাসূল সাঃ এর প্র্যাকটিক্যাল নামায – মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম আত তুআইজিরী
৭৫। রাসূল সাঃ এর সালাত আদায় পদ্ধতি – আব্দুল আযীয বিন বায
৭৬। রাসূল সাঃ জানাযার নামায পড়াতেন যেভাবে – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
৭৭। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নামায – ড. জাকির নায়েক
৭৮। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নামায ১ম ও ২য় খণ্ড – মোহাম্মাদ নাসেরুদ্দিন আলবানী ও এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
৭৯। রাসূলুল্লাহর প্যাকটিকাল নামায – মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহীম আত তুআইজিরী
৮০। রাসূলুল্লাহর সাঃ নামায ও জরুরি দোয়া – মুহাম্মদ আব্দুল জলিল মিয়া
৮১। রুকু পেলে রাকাত হবে না – আবদুস সাত্তার
৮২। শ্রেষ্ঠ ইবাদত সালাত বা দোআ – রফিক আহমাদ
৮৩। সলাতুত তারাবীহ – নাসেরুদ্দিন আল আলবানীী
৮৪। সংশয় ও বিভ্রান্তির বেড়াজালে মুনাজাত – আকারুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
৮৫। সহীহ হাদীসের কষ্টিপাথরে ঈদের তাকবীর – মুযাফফার বিন মুহসিন
৮৬। সালাত – ড. জাকির নায়েক
৮৭। সালাত আদায়ের জন্য আসো – খালেদ আবু সালেহ
৮৮। সালাত আদায়ের পদ্ধতি – সায়ীদ ইবন আলি ইবন ওহাফ আল কাহতানী
৮৯। সালাত ও পবিত্রতা সম্পর্কে কয়েকটি বিশেষ প্রবন্ধ – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
৯০। সালাত কি আমাদের উপর ফরয – মুহাম্মদ চৌধুরী
৯১। সালাত পরিত্যাগকারীর বিধান – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৯২। সালাত বর্জনকারীর বিধান – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
৯৩। সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি – নাসেরুদ্দিন আল আলবানী
৯৪। সালাতুন নাবী ও বিবিধ মাসায়েল – ড. জাকির নায়েক
৯৫। সালাতুর রাসুল – মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
৯৬। সালাতুল মারীয রোগীর নামায – হোসাইন আহমাদ
৯৭। সালাতে একাগ্রতা ও খুশু – সানাউল্লাহ নজির আহমদ
৯৮। সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায় – মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
৯৯। সালাতে মুবাশশির – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
১০০। সালাতের গুরুত্ব ও ফজীলত – আব্দুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে ইবরাহীম
১০১। সালাতের পর রাসুল সাঃ যে সব দোআ পড়তেন – মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইবরাহীম
১০২। সালাতের মধ্যে হাত বাঁধার বিধান – খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
১০৩। সালাতের মাসায়েল – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
১০৪। সালাতের সময়সূচী – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
১০৫। সালাম ও তার বিধিবিধান – আব্দুল্লাহ ইবন জারুল্লাহ আলে জারুল্লাহ
১০৬। হাকীকাতুস সালাত – আবু মুহাম্মদ আলীমুদ্দিন
নামাজ পরিচিতিঃ প্রতিটি মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। নামাজ শুধু নিজে পড়লে হবে না, অন্যদেরও নামাজের প্রতি জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে নামাজের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ৮২ বার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামাজ আদায় না করে মুমিন থাকা যায় না। কারণ মুসলিম আর অমুসলিমের মধ্যে পার্থক্যই হলো নামাজ। (মুসলিম : ২৫৬)। আর নামাজ প্রতিষ্ঠা মানে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা। নামাজকে অস্বীকার করা মানে
দ্বীন-ইসলামকেই অস্বীকার করা। বিশ্বনবী (সা.) এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘যে নামাজ প্রতিষ্ঠা করল, সে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করল। আর যে নামাজ ধ্বংস করল, সে দ্বীনকেই ধ্বংস করল।’
নামাজ এমন ইবাদত, যা শুধু নিজে আদায় করলেই হয় না; অধীনস্থদেরকেও আদায় করাতে হয়। নিজে নামাজ কায়েম করা যেমন ফরজ, তেমনি পরিবারের অন্য সদস্যদের নামাজের আদেশ দেওয়াও ফরজ। আমাদের প্রিয় নবীকে উদ্দেশ করে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন।’ (সুরা ত্বহা : ১৩২)। আর রাসুল (সা.) পৃথিবীর সব অভিভাবকের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও এবং দশ বছর বয়সে নামাজের জন্য কঠোর শাসন করো।’ (আবু দাউদ : ৪৯৫)। কেননা নামাজ মানুষের বোধশক্তিকে জাগ্রত করে পাপাচার থেকে বাঁচিয়ে দিয়ে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে। এ ব্যাপারে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)
দেশের নাগরিকদের ভালো বানানোর স্বার্থে রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা অধিষ্ঠিত তাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব নাগরিকদের নামাজের ব্যবস্থা করা ও নামাজের তাগিদ করা। ইরশাদ হচ্ছে, ‘তারা এমন লোক, যাদেরকে আমি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করলে নামাজ কায়েম করবে, জাকাত দেবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে, অসৎকাজে নিষেধ করবে। আর সব কাজের চূড়ান্ত পরিণাম আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।’ (সুরা হজ : ৪১)। নামাজ নিয়ন্ত্রিত জীবনের শিক্ষা প্রদান করে। নামাজ দৃষ্টি ও মন নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা দিয়ে থাকে। নামাজ আদায় করতে গেলে সময়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। নামাজ একজন মানুষের জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে একজন মুমিন বান্দা সময়ানুবর্তিতা ও দায়িত্ব পরায়ণতার শিক্ষা লাভ করে থাকেন। এ ব্যাপারে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিঃসন্দেহে নামাজ বিশ^াসীদের ওপর সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা : ১০৩)
আদর্শ জাতি ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। একজন সত্যিকার নামাজি হবে সব নৈতিক গুণে সমৃদ্ধ একজন সুনাগরিক। কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার মধ্যে তৈরি হবে আল্লাহভীতি। জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহভীতিকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর বিধিনিষেধ মেনে চলা নামাজের অন্যতম প্রশিক্ষণ। কেননা আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ মেনে চলার প্রশিক্ষণ নামাজের মধ্য দিয়ে অর্জন করা যায়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘নামাজ পূর্ণরূপে আদায় হয়ে গেলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়ো; আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো। আর এ সময় তোমরা বেশি বেশি করে আল্লাহকে স্মরণ করো। তবেই সম্ভবত তোমরা সফলকাম হতে পারবে।’ (সুরা জুময়া : ১০)। এ আয়াতে রিজিক অনুসন্ধানের পাশাপাশি নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ উপার্জন করতে গিয়ে নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না এবং এর মধ্যেই সফলতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় যারা আল্লাহর কিতাব তেলাওয়াত করে, নামাজ কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে, যা কখনও ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির : ২৯)
যখন নামাজের সময় উপস্থিত হয়, তখন ভালোভাবে অজু করে নামাজ আদায়ে জামাতে শরিক হতে হয়। কেউ ইচ্ছা করলে অজু ছাড়াই জামাতে শরিক হওয়ার সুযোগ নিতে পারে। কারণ একজন নামাজি অজু করলেন, কি করলেন না, তা তো কেউ দেখে না। অন্য কেউ দেখুক অথবা না দেখুক আল্লাহ দেখছেন- এই ভয় নামাজির অন্তরে বদ্ধমূল হওয়ার কারণে সে অজু ছাড়া নামাজে অংশ নেয় না।
সুতরাং একজন নামাজি নামাজের মাধ্যমে আমানত রক্ষার এ শিক্ষায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে গভীর অরণ্যে, জনমানবহীন ধূ-ধূ প্রান্তরে বা কর্মক্ষেত্রে কোনো পাপ কাজ করতে সাহসী হবে না। যদি রাস্তায় কোথাও স্বর্ণ বা টাকা পড়ে থাকতে দেখে আর সে যদি সত্যিকার নামাজি হয় তা হলে সেসব স্পর্শ করতে পারে না। কারণ নামাজ তাকে অন্যায়, অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে।
আবার ভিজিট করবেন ধন্যবাদ