গ্রন্থ পরিচিতঃ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক লোক-শিক্ষক হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম আবূ হামেদ মুহাম্মদ আল-গাযালী (রাহঃ) রচিত মুকাশাফাতুল-কুলুব একটা মহামূল্যবান গ্রন্থ। একশত এগারটি অধ্যায়ে সমাপ্ত এই বিরাটায়তন গ্রন্থটি ইমাম সাহেবের সুবিখ্যাত গ্রন্থ এহয়াউ উলুমুদ্দীন-এর প্রায় সমপর্য্যায়ের।
এ অমূল্য গ্রন্থটি আমাদের দেশে একপ্রকার অপরিচিত রয়ে গিয়েছিল। বৈরুত বিশ্ব বিদ্যায়ের অধ্যাপক ডঃ শায়খ মুহাম্মদ রশীদ আল-কোব্বানী দুষ্প্রাপ্য সেই গ্রন্থটি সম্পাদনা করে সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করেছেন। ফলে ইমাম গাযালীর (রাহঃ) এ গ্রন্থটির সাথেও আধুনিক বিশ্বের পরিচিতি লাভ সহজ হয়েছে।
ইমাম গাযালীকে (রাহঃ) হিজরী পঞ্চম শতকে প্রকাশিত হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটা অত্যুজ্জ্বল মোজেযারূপে চিহ্নিত করা হয়। কারন, প্রাথমিক পাচঁশো বছরের সময়কাল মধ্যে অর্জিত অকল্পনীয় পার্থিব সমৃদ্ধি সুমলিম উম্মাহর দৃষ্টিকে জীবনের প্রধান লক্ষ্য আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ়করনের কথা যখন অনেকটা ভুলিয়ে দিয়েছিল, ঠিক সেরূপ একটা ক্রান্তিকালে ইমাম গাযালীর (রাহঃ) আবির্ভাব ঘটে।
তাঁর ধারনাঋদ্ধ ক্ষুরধার লেখনী পথহারা মুসলিম উম্মাহকে নতুন করে জাগিয়েছিল। আর সেটা ঘটেছিল আত্মার জাগরন। বলা হয় যে ইমাম গাযালীর (রাহঃ) লেখনী দ্বারাই পরবর্তীকালে নুরুদ্দীন জঙ্গী সালাহউদ্দীন আইয়ূবী প্রমুখ দরবেশ রাজন্যবর্গের অবির্ভাব সম্ভব হয়েছিল। ইতিহাস যাদের চিহ্নিত করেছে উম্মতের শ্রেষ্ঠ সন্তানরূপে । ইমাম গাযালীর (রাহঃ) নির্দেশেই তার জনৈক সাগরেদ মাগরেব বা মরক্কোয় একই ইসলামী দল গঠন ও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন।
আধ্যাত্মিকতা কি এবং তা অর্জন করার পথই বা কোনটি তা অনুধাবন করার জন্য ইমাম গাযালীর গ্রন্থবলী পাঠ করাই যথেষ্ট। জীবনের তাৎপর্য ও তা উপভোগ করার যেসব পদ্ধতি তিনি বলে গেছেন জীবনপথে চলতে গিয়ে যে সব বৈরী শক্তির মোকাবেলা করতে হয়, সেগুলিকে যেভাবে তিনি চিহ্নিত করেছেন, তা সর্বকালেই চিরনতুন হয়ে থাকবে।
ইমাম গাযযালী রহঃ কর্তৃক রচিত আত্মার আলোকমণি pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
আত্মার আলোকমণি ১ম খণ্ড
আত্মার আলোকমণি ২য় খণ্ড
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ