গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া মানুষের স্বভাবের অন্তর্গত। মানুষ শয়তানের ধোকায় মানুষ ভুল পথে পরিচালিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘আদম সন্তান সবাই অপরাধ করে। অপরাধীদের মধ্যে উত্তম তারাই যারা তাওবা করে।’ (তিরমিযি)
হযরত রাসূলুল্লাহ্ সা. আরও বলেন: “তোমরা যদি গুনাহ না কর, তবে আল্লাহ্ তোমাদের সরিয়ে দেবেন এবং সে স্থলে এমন জাতি সৃষ্টি করবেন যারা গুনাহ করবে; অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, তখন তিনিও তাদের ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
মানুষ মাত্রই গুনাহ করে। গুনাহের জন্য তাওবা করতে দেরি করা এবং গুনাহের কাজে অটল থাকা মস্ত বড় অন্যায়। শয়তান সব সময় ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করে। সাত ধরনের বাধা-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে শয়তান মানুষের ওপর বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করে। একটি বাধায় অপারগ হলে তার পরেরটি দ্বারা চেষ্টা চালায়।
সেগুলো হচ্ছে – ১. সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে : শিরক ও কুফর। ২. এতে সফল না হলে বিদ’আত তথা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে এবং রাসূলুল্লাহ্ বাধা-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে শয়তান মানুষের ওপর বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করে। একটি বাধায় অপারগ হলে তার পরেরটি দ্বারা চেষ্টা চালায়। সেগুলো হচ্ছে – ১. সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে : শিরক ও কুফর। ২. এতে সফল না হলে বিদ’আত তথা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে এবং রাসূলুল্লাহ্ সা. ও তাঁর সাহাবীদের অনুসরণের ক্ষেত্রে নতুন নীতি সৃষ্টি করার মাধ্যমে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা চালায়। ৩. এতেও যদি না হয়, তখন কবিরা গুনাহে লিপ্ত করার চেষ্টা করবে। ৪. এক্ষেত্রে সামর্থ্য না হলে সগিরা গুনাহে লিপ্ত করে। ৫. এতেও সফল না হলে, দুনিয়াবী বৈধ কাজ বেশি পরিমাণে করায়। ৬. এখানেও অপারগ হলে-অধিক ফজিলত ও বেশি নেকি আছে এমন কাজের তুলনায় কম নেকির কাজের দ্বারা উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করে। ৭. এতেও সফল না হলে পথভ্রষ্ট করার জন্য জ্বিন ও মানুষরূপী শয়তানকে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ করে দেয়।
গুনাহের কাজ দুই ভাগে বিভক্ত: ১) কবিরা বা বড় গুনাহ। যে সব কাজে দুনিয়াতে দণ্ডবিধি নির্ধারণ করা আছে অথবা আখেরাতে শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে অথবা আল্লাহর গজব বা লানত বা ঈমান থাকবে না এমন কথা বলা হয়েছে
তাকে কবিরা গুনাহ বলে। ২) সাগরা (ছোট) গুনাহ। এটি হচ্ছে নিম্নপর্যায়ের পাপ। বিভিন্ন কারণে সগিরা গুনাহ কবিরা গুনাহে পরিণত হতে পারে।
যেমন- ছোট গুনাহের কাজে অটল থাকা অথবা তা বারবার করা বা তা তুচ্ছ মনে করা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত হতে পেরে গর্ব করা অথবা গুনাহের কাজ প্রকাশ্যে করা।
সব ধরনের পাপ থেকেই তাওবা করা উচিত। মৃত্যুর-পূর্ব পর্যন্ত তাওবার দরজা উন্মুক্ত। তাওবাকারী যদি নিজ তাওবায় সত্যবাদী হয়, তবে তার পাপরাশিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করা হবে যদিও তা আকাশের মেঘমালার সংখ্যার থেকেও অধিক হয়।
তাওবা কবুল হওয়ার শর্তাবলি: ১। সংশ্লিষ্ট গুনাহের কাজটিকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা; ২। কৃত অপরাধের কারণে লজ্জিত হওয়া; ৩। ভবিষ্যতে পুনরায় উক্ত অপরাধে লিপ্ত হবে না-এ কথার উপর দৃঢ় অঙ্গীকার করা। ৪. অন্যায় কাজটি যদি মানুষের অধিকার সংশ্লিষ্ট হয়, তবে উক্ত অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ