শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান কর্তৃক রচিত ইসলামিক pdf বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। অর্থনীতিতে রাসুল (সা)-এর দশ দফা
২। ইসলামী অর্থনীতি নির্বাচিত প্রবন্ধ
৩। ইসলামী ব্যাংকিং বৈশিষ্ট্য ও কর্ম পদ্ধতি
৪। ইসলামের অর্থনৈতিক বিপ্লব
৫। মাল্টি লেবেল মার্কেটিং প্রসঙ্গ
৬। সুদ
৭। সুদঃ এক ভয়াবহ অভিশাপ পরিত্রাণের উপায়
লেখক পরিচিতিঃ
শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান দেশ-বিদেশে একজন প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকপদ্ধতি প্রক্রিয়ার বিশেষজ্ঞ ছিলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট, ইসলামিক ইকোনমিকস রিসার্চ ব্যুরোর সাথে ছিলেন ঘনিষ্ঠ। সেই সূত্রে শাহ আব্দুল হান্নানের কাছের মানুষ ছিলেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও এর প্রক্রিয়া প্রকরণ নিয়ে তার সাথে আলোচনা হতো দীর্ঘসময়, শেষের দিকে মোবাইল ফোনে। শেষ বয়সে তিনি রাজশাহী থেকে কোথাও যেতেন না। সেই যে বাগেরহাটের পিসি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে রাজশাহীর মতিহার আমবাগানে ঢোকেন, সেখান থেকে তাকে আর বের করা যায়নি এমএ পাসের পর বছরদুয়েক পিসি কলেজে অধ্যাপনার সময় ছাড়া। নিজের গাঁওগেরাম পাইকগাছায় (বর্তমানে কয়রা উপজেলার আমাদি জায়গিরমহল) তার পা পড়েছিল কম। পড়ুয়া, গবেষক ও লেখক শাহ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান ছিলেন অনেকের অনুপ্রেরণার উৎস।
বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতির একজন প্রবক্তা হিসেবে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সংশ্লিষ্টতা সূত্রে তাকে একটি বিশেষ পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক অনেকে মনে করলেও ছিলেন একজন মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব এবং ন্যায়-নীতিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, সুস্থ ও স্বচ্ছ অর্থনীতি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার সপক্ষের মানুষ, চিন্তক ও লেখক। ইসলামী অর্থনীতি, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখিতে তাকে কখনো সীমিত অবয়বে, পক্ষপাতমূলক আদর্শিক অবস্থানে দেখা যায়নি। ছিলেন উদার উন্মুক্ত ভাবাদর্শের মনস্বী অধ্যাপক।
২০০১ সালে ‘আমরা কি পড়তে চাই, কি পড়ছি, কি পড়াচ্ছি’, কিংবা ২০০৩ সালে তার রচিত ‘নৈতিক অবক্ষয়রোধে ইসলামী শিক্ষার ভূমিকা’ শীর্ষক লেখাগুলোতে শিক্ষাভাবনার যে পরিচয় আমরা পাই, পরবর্তীকালে তার কলম আরো গঠনমূলক যুক্তি পরামর্শে ভাস্বর হয়ে ওঠে। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, নব্বইয়ের দশকে ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতের ভূমিকা’ কিংবা ইসলামিক ইকোনমিকস রিসার্চ ব্যুরো আয়োজিত জাকাত এবং দারিদ্র্য বিমোচন সেমিনার (ঢাকা ১৪-১৫ ডিসেম্বর, ১৯৯৮) তার পঠিত ‘রোল অব জাকাত ইন পোভার্র্টি এলিভিয়েশন’ প্রবন্ধদ্বয়ে বিধৃত তত্ত¡-ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের আলোকে বাংলাদেশে জাকাত ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্যোগ ও সংহতি সংস্থাপনের সূত্রপাত ঘটে।
১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে পৃথক দু’টি সেমিনারে তিনি ‘ইসলামী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রয়োগ এবং বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানে এর ভূমিকা’ এবং ‘ইসলামী অর্থনীতির মূলনীতি ও বাংলাদেশে এর প্রয়োগ সম্ভাব্যতা’ শীর্ষক দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করলে চিন্তাশীল মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তারও আগে আশির দশকে ‘ইসলামি অর্থনীতিতে আয় ও সম্পদ বণ্টন’ বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করে নতুন ভাবনার উদ্রেক ঘটান তিনি। এমনকি ‘উত্তর পশ্চিম বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য : একটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ’ প্রবন্ধটির মাধ্যমে শিক্ষায় আঞ্চলিক বৈষম্য বিষয়েও ক্ষৈত্রিক পর্যায়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যে কৌতূহলোদ্দীপক প্রসঙ্গের অবতারণা করেছিলেন আজো তা তার একক চিন্তার উদাহরণ হিসেবে দীপ্যমান রয়েছে।
ইসলামী অর্থনীতিবিদ, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান গত ৬ আগস্ট ২০২৩ দেশে-বিদেশে অগণিত ছাত্র, অনুসারী-অনুধ্যায়ী রেখে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মেধাবী, স্বল্পবাক ও প্রচারবিমুখ অধ্যাপক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ৩৭ বছর দায়িত্ব পালনের পর নানাভাবে গবেষণা ষান্মাসিক শিক্ষকতা, সমাজসেবামূলক কাজে আজীবন ব্যাপৃত ছিলেন।
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ