ইবাদত সম্পর্কিত বই ডাউনলোড করতে নিচে বইয়ের নামের উপর ক্লিক করুন।
১। আমরা কি উদযাপন করব – ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
২। আমি কার পেছনে চলবাে – ই-ইলম পরিবার
৩। ইবাদাত কবুলের শর্তসমূহ – মোঃ মতিয়ার রহমান
৪। ইবাদত – ড. মুহাম্মদ শফিউল আলম ভূঁইয়া
৫। ইবাদত – মুহম্মদ মতিউর রহমান
৬। ইবাদত বন্দেগীতে মধ্যম পন্থা অবলম্বন – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৭। ইবাদাত কবুলের শর্তসমূহ – মোঃ মতিয়ার রহমান
৮। ইবাদাতের মর্মকথা – ইমাম ইবনে তাইমিয়া
৯। ইসলামী এবাদাতের মর্মকথা – সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১০। ইসলামে ইবাদতঃ ভাব ও তাৎপর্য – ইকবাল হোছেন মাছুম
১১। ইসলামে এবাদতের পরিধি – ইউসুফ আল কারযাভী
১২। ইসলামে বাইয়াত – মোঃ আবু তাহের
১৩। ইসলামে হালাল ও হারাম – এ. বি. এম. এ. খালেক মজুমদার
১৪। ইসলামে হালাল হারামের বিধান – ইউসুফ আল কারযাভী
১৫। ঈদ ই মিলাদুন্নবী প্রবর্তন ও প্রবর্তকঃ একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা – ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
ইবাদত পরিচিতি
ইবাদত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, নত হওয়া, বিনম্র হওয়া, আনুগত্য করা ইত্যাদি। ইবাদতের আসল অর্থ হচ্ছে আনুগত্য করা। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘ইবাদত হচ্ছে বিনয়ের সঙ্গে আনুগত্য।
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘ইবাদতের শাব্দিক অর্থ হলো নীচতা-হীনতা। আর পারিভাষিক অর্থে ইবাদত বলা হয় পরিপূর্ণ ভালোবাসা, বিনয় ও ভীতির সমষ্টিকে।’
ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘ইবাদত হলো আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া এবং তাঁর দ্বিনের বিধানসমূহের অনুসরণ করা। আর ইবাদতের মূল হলো নম্রতা ও নিজেকে হীন করে প্রকাশ করা।
ইবাদতের মধ্যে আসল হচ্ছে আনুগত্য। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসুলের সুন্নতে যে বিষয় প্রমাণিত নয় তাকে ইবাদত ভাবা কোনো মাখলুকের জন্য বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো কাজ করল অথচ ওই কাজে আমার কোনো অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।’ বুখারি, হাদিস : ২৪৯৯
রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনাবহির্ভূত কোনো ইবাদত কবুল হয় না। সে ইবাদত যত ভালো আর বড়ই হোক না কেন।
মানব সৃষ্টির তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহভীতি অর্জন করা। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, বছরের নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালন, জান-মাল পবিত্র করার জন্য সম্পদের জাকাত প্রদান, জীবনে একবার হজ পালনের মধ্যে ইবাদতকে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। এগুলো অবশ্যই বড় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু এ কথা সত্য, উল্লিখিত ইবাদতগুলো পালনে একজন মানুষের জীবনের খুব কম সময়ই ব্যয় হয়। কোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি এটা মেনে নেবে যে সে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় আল্লাহর ইবাদত ছাড়াই অতিবাহিত করবে? অথচ সে জানে যে আল্লাহ তাকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই, আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি, আর আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি হলাম প্রথম।’ সুরা আন আম, আয়াত : ১৬২-১৬৩
আবার ভিজিট করবেন !!! ধন্যবাদ